গত ২৭ মার্চকোনো পুরুষ অভিভাবক বা মাহরাম ছাড়াই নারীদের ওমরাহ পালনের যে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল তা বাতিল করেছে সৌদি আরব। মিশরীয় সংবাদমাধ্যম মাসরায়িকে এ কথা জানিয়েছেন এক সৌদি কর্মকর্তা।অনুমতিতে বলেছিল ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী নারীরা পুরুষ অভিভাবক ছাড়া ওমরাহর পালনের সুযোগ পাবেন। তবে দীর্ঘদিনের এই রীতি বাতিল করে নারীদের ওমরাহ পালনের জন্য একটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। শর্তটি ছিল ওমরাহ পালনের জন্য কোনো দলের সঙ্গে যেতে হবে নারীদের।এবং কমপক্ষে ১ ডোজ টিকা নিতে হবে তাদের। এছাড়া কোনো ধরনের অসুস্থতা থাকা যাবে না।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছিল, সৌদি আরবে বসবাসরত এবং সৌদি নাগরিক, যারা গত ৫ বছরে হজ করেননি তারা চলতি বছরে হজের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
মূলত গত বছরই সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে সব বয়সী নারীদের ‘মাহরাম’ ছাড়াই হজ পালনের অনুমতি দেয়। এছড়াও ফিকাহ শাস্ত্র মতে, পুরুষের চেয়ে একটি শর্ত বেশি পালন সাপেক্ষে নারীর জন্য হজ ফরজ। আর তা হলো- ‘মাহরাম’। মাহরাম ছাড়া নারীর জন্য হজ পালনে বাধ্যবাধকতা নেই।
নারীর জন্য প্রথম মাহরাম হলো তার স্বামী। অতঃপর যাদের সঙ্গে ইসলামি বিধান মোতাবেক দেখা-সাক্ষাৎ করা জায়েজ এবং যাদের সঙ্গে বিবাহ হওয়া হারাম। ইসলামের পরিভাষায় তারাই নারীর জন্য মাহরাম। এসব লোকদের সঙ্গে সামর্থবান নারীরা হজে গমন করতে পারবে।
মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল যে, নারীরা চাইলে কোনো পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই মক্কা গিয়ে হজ ও ওমরাহ করতে পারবেন, ইসলাম এ বিষয়ে অনুমোদন দেয়। তবে এ জন্য তাদেরকে অবশ্যই নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আল-আজহারের এই বিবৃতির একদিন পরেই সৌদি সরকার তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলো। দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য সায়িদ বাহাশওয়ান বলেন, ৪৫ বছরের কম বয়স্ক নারীদের মাহরাম ছাড়া ওমরা পালনের অনুমোদনের বিষয়টি ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ স্থগিত করা হয়েছে। তবে তিনি জানাননি কেনো সিদ্ধান্ত বাতিল করলো সৌদি আরব । এ খবর দিয়েছে দ্য নিউ
https://www.facebook.com/watch?v=1316101955468585