কেউ যুদ্ধ চায় না, তবুও সব সময়ই পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি বিদ্যমান আছে। রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুতনিক নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ এমন দাবিই করেছেন।
তিনি বলেন, ‘কেউ আসলে কোনো যুদ্ধই চায় না। বিশেষ করে পারমাণবিক যুদ্ধ, এটা মানব সভ্যতার জন্য বড় হুমকি। এই অর্থে, যেসব বিশ্লেষকেরা পারমাণবিক অস্ত্রের উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও বলেছেন, এ ধরনের অস্ত্রের বিকাশ বিংশ এবং একবিংশ শতকে বিপুলসংখ্যক সংঘাত রোধ করেছে, তারা ঠিক কথাই বলেছেন। এটাই আসল সত্য। এটা প্রকৃত অর্থেই সংঘাত রোধ করেছে।’
এরপরই মেদভেদেভ বলেন, ‘তারপরও সবসময় পরমাণু যুদ্ধের হুমকি বিদ্যমান আছে।’
রুশ নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান আরও বলেন, ‘রাশিয়ার বিভিন্ন স্থাপনাকে পারমাণবিক অস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে ন্যাটো। রাশিয়ার ওয়্যারহেডগুলোও ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাক করা। তাই একটি দায়িত্বশীল নীতি অনুসরণ করা প্রয়োজন।’
মেদভেদেভের দাবি, চলমান সংকট স্নায়ুযুদ্ধের চেয়েও খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। কারণ সেই সময়ে রাশিয়ার প্রতিপক্ষরা পরিস্থিতি ঠিক করার চেষ্টা করেনি।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের মারিউপোলসহ বেশ কিছু এলাকা প্রায় ধ্বংসস্তূপ। লাশ দেওয়া হচ্ছে মাটিচাপা। রাজধানী কিয়েভকে ঘিরে রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণ চলছে। তবে দেশটির ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি পুতিনের বাহিনী। এর মধ্যেই ইউক্রেনের সেনারা দাবি করে বসলেন, ৯ মের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে চায় মস্কো।
ইউক্রেনের কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল অব স্টাফের কাছে তথ্য রয়েছে, রাশিয়ান সেনাদের নাকি বলা হয়েছে, যে করে হোক ৯ মের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করতে হবে।আগামী অভিযানে ইতি টানতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন সেনার একটি সূত্র উদ্ধৃত করে গত শুক্রবার এমন দাবি করেছে ‘দ্য কিভ ইন্ডিপেনডেন্ট’। পত্রিকার টুইটার পেজে সেটি শেয়ার করা হয়েছে।
প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনী জার্মানির চূড়ান্ত পরাজয়ের পর ১৯৪৫ সালের ৯ মে সরকারিভাবে সামরিক অভিযানে ইতি টেনেছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোশেফ স্তালিন। রাশিয়া এখনো ৯ মে উৎসব পালন করে। পুতিন এবার তাই স্তালিনের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন বলেই মনে করছেন ইউক্রেনের সেনারা।এদিকে গত শুক্রবার রাশিয়ার অভিযানের ৩০তম দিনে ইউক্রেন দাবি করেছে, এ পর্যন্ত সংঘাতে ১৫ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। তাঁদের অনেকেরই লাশ ফিরিয়ে নিয়ে যায়নি পুতিন বাহিনী। সেগুলো পড়ে রয়েছে রাস্তায়। ইউক্রেনের দাবি, ৮৪ হাজার শিশুসহ ৪ লাখ ইউক্রেনবাসীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মস্কো এ পরিসংখ্যান স্বীকার করলেও এসব ইউক্রেনীয় স্বেচ্ছায় রাশিয়া গেছে বলে দাবি করেছে ক্রেমলিন।
https://www.facebook.com/watch/?v=3509825022583584