1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
ইউক্রেইনের রণাঙ্গনে রাশিয়ার যুদ্ধ আসলে চালাচ্ছে কে? ভিডিওসহ - Pundro TV
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন



ইউক্রেইনের রণাঙ্গনে রাশিয়ার যুদ্ধ আসলে চালাচ্ছে কে? ভিডিওসহ

পুন্ড্র.টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২

ইউক্রেইনে রাশিয়ার ‘সামরিক অভিযান’ পরিচালনা করার জন্য মস্কো কি নির্দিষ্ট কাউকে কমান্ডারের দায়িত্ব দিয়েছে? এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।

সিএনএন এক প্রতিবেদনে লিখেছে, রাশিয়ার সামরিক অভিযানের আপাত বিশৃঙ্খল অবস্থা এবং ধীরগতির পেছনে এটি একটা কারণ হয়ে থাকতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের অনেকের ধারণা।

যুক্তরাষ্ট্রের দুজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাতে সিএনএন লিখেছে, রাশিয়ার বিভিন্ন সামরিক বিভাগ থেকে যুদ্ধে অংশ নেওয়া ইউনিটগুলোকে ইউক্রেইনের বিভিন্ন অংশে রসদের জন্য পরস্পরকে সহযোগিতা করার বদলে প্রতিযোগিতা করতে দেখা যাচ্ছে। আর সে কারণেই এমন ধরাণা তৈরি হয়েছে যে, কোনো একজন নির্দিষ্ট সেনাপতি হয়ত ইউক্রেইনে রণাঙ্গনের ভেতরে বা কাছাকাছি কোথাও থেকে পুরো বাহিনীকে পরিচালনা করছেন না।

ইউক্রেইনজুড়ে রাশিয়ার সামরিক ইউনিটগুলোর যুদ্ধের ময়দানে কোনো সুনর্দিষ্ট লক্ষ্য ধরে সমন্বিতভাবে লড়ছে না। বরং, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই যার যার মত করে তারা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন লিখেছে, রুশ বাহিনীর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগেও উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। সৈন্যরা এবং তাদের অধিনায়করা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে অনেক ক্ষেত্রেই বাণিজ্যিক সেল ফোন এবং অন্যান্য অরক্ষিত চ্যানেল ব্যবহার করছেন। ফলে আড়িপেতে তাদের কথা শোনা সহজ হয়ে যাচ্ছে। পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করতে তা ইউক্রেনীয়দের সাহায্য করছে।

এসব কর্মকাণ্ড থেকে মনে হচ্ছে, অভিযানটি একটি ছাড়া ছাড়া, এবং অনেকক্ষেত্রেই বিশৃঙ্খল অভিযানের রূপ পেয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা কর্মকর্তাদের অবাক করে তুলছে।

ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সাবেক এক অধিনায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মার্ক হার্টলিং বলেন, “যুদ্ধ পরিচালনার অন্যতম একটি নীতি হল ‘ইউনিটি অব কমান্ড’ বা ‘নেতৃত্বের ঐক্য’। যার অর্থ হল, কোনো একজনকে সার্বিক নেতৃত্বে থাকতে হবে – গুলির সমন্বয়, সরঞ্জাম পরিচালনা, রিজার্ভ সেনা আহ্বান, অভিযানে নিয়োজিত বাহিনীর বিভিন্ন শাখার সাফল্য (ও ব্যর্থতা) নির্ণয় এবং সে অনুযায়ী রণনীতির সামঞ্জস্য করতে হবে তাকে।”

ইউক্রেইনের চলমান সামরিক অভিযানের কমান্ডার কে, সে বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কারো নাম উল্লেখ করেনি। এ বিষয়ে সিএনএনের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলেও জবাব মেলেনি বলে তাদের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

সামরিক বিশ্লেষক হার্টলিং বলেন, এমনও হতে পারে যে রাশিয়া বিদেশে পরিচালিত এই সামরিক অভিযানের জন্য নীরবে একজন শীর্ষ সমর অধিনায়ককে দায়িত্ব দিয়েছে। যদি তেমন কিছু ঘটে থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এখনও সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

সিএনএন লিখেছে, এই যুদ্ধ রাশিয়ার অতিরিক্ত সংখ্যক বড় সামরিক কর্মকর্তার মৃত্যুর জন্যও চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ইউক্রেইনীয়দের দাবি, যুদ্ধের এই চার সপ্তাহে তারা এ পর্যন্ত পাঁচজন রুশ জেনারেলকে হত্যা করেছে। তবে এ তথ্য নিরপেক্ষ সূত্র থেকে নিশ্চিত করতে পারেনি সিএনএন।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ডেভিড পেত্রাউস সিএনএনকে বলেছেন, একটি যুদ্ধে এত বেশি জেনারেলের মৃত্যু ‘বিরল ঘটনা’।

রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আঞ্চলিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক জিটিআরকে কোসত্রোমা বৃহস্পতিবার জানায়, ইউক্রেইনের যুদ্ধে রাশিয়ার স্পেশাল এয়ারবোর্ন ইউনিটের অধিনায়ক কর্নেল সের্গেই সুখারেভও নিহত হয়েছেন।

“শেষ কথা হল, তাদের (রুশ) নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে,” বলেন জেনারেল পেত্রাউস।

আর লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্টলিং বলছেন, এ ধরনের বিশাল সামরিক অভিযান পরিস্থিতি খারাপের দিকেই নিয়ে যায়। এক হাজার মাইলের চেয়ে বেশি বিস্তৃত রণাঙ্গনের জন্য যোগাযোগ রক্ষার জন্য যে বিপুল সামর্থ্য এবং নেতৃত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও গোয়েন্দা সক্ষমতা দরকার, তা ‘রুশদের কাছে নেই’।

ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর আরেক সাবেক অধিনায়ক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল বেন হজেস বলেন, “আমি (রুশ) নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী বা সেনা বাহিনীর কর্মকাণ্ডের মধ্যে কোনো সমন্বয় দেখতে পাচ্ছি না।”

রাশিয়ার সেনা নেতৃত্ব কাঠামোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধারণা আছে কিনা সে বিষয়ে ভেতরের কোনো তথ্য জানা নেই হজেসের।

‘মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি নিয়ে অবগত’ যুক্তরাষ্ট্রের এক সূত্র সিএনএনকে বলেছে, “নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সব পর্যায়েই রুশরা এই অভিযানে ব্যাপক জটিলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে হয়ত ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধেরও ভূমিকা রয়েছে।”

যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাদের সঙ্গে তাদের কমান্ডারদের যোগাযোগ প্রায়ই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, এমন খবরও পশ্চিমা কর্মকর্তারা দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে অবগত আরেক সূত্র সিএনএনকে বলেছে, মাঠে থাকা রুশ সেনারা তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য অভিযান চালাচ্ছে ঠিক, কিন্তু তা জানানোর কোনো উপায় তাদের নেই।

আর সে কারণেই অনেক রুশ সেনাকে তাদের ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ফেলে চলে যেতে দেখা গেছে বলে পশ্চিমা কর্মকর্তাদের ধারণা।

https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/5028811820532131

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ



© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST