1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ‘গান্ধী অনুগতদের’ সরাতে চায় কংগ্রেসের বিদ্রোহীরা - Pundro TV
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন



গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ‘গান্ধী অনুগতদের’ সরাতে চায় কংগ্রেসের বিদ্রোহীরা

পুন্ড্র.টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ২০ মার্চ, ২০২২

বুধবার রাতে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি।

নেতৃত্বকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি কংগ্রেসে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়েছে ‘জি-২৩’; দুই বছর আগে সোনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি লেখা ২৩ ভিন্নমতাবলম্বীর দলই ‘জি-২৩’ নামে পরিচিতি পায়।

এ বিদ্রোহীদের অন্যতম শীর্ষ নেতা গুলাম নবী আজাদের বাড়িতে বুধবারের বৈঠকে নেতারা দল এখন ‘এতই দুর্বল’ যে ভাঙনে টিকতে পারবে না-  এমন আলোচনাও করেছেন বলে জানা গেছে।

গুলাম নবী আজাদই সম্ভবত কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে এই বৈঠকের বার্তা ও বিদ্রোহীদের উদ্বেগের কথা জানাবেন, বলছে সূত্রগুলো।

সোনিয়া-আজাদের ওই বৈঠকে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সর্বোচ্চ পরিষদ কার্যনির্বাহী কমিটির রোববারের বৈঠকে রাজ্য নির্বাচনে দলের ভরাডুবির ময়নাতদন্ত হয়; তার দুইদিন পর ‘জি-২৩’ বৈঠকে বসল।

কার্যনির্বাহী কমিটির ওই বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী ও তার দুই ছেলে-মেয়ে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা ‘ভরাডুবির দায় মাথায় নিয়ে’ পদত্যাগ করতে চাইলেও অন্যরা তা খারিজ করে দেন বলে বৈঠকের পর জানিয়েছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।

৫ রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খু আলোচনার পর কংগ্রেস সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে আস্থার রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করে এবং সোনিয়াকে সংশোধনমূলক সাংগঠনিক পরিবর্তন আনার অনুরোধ জানায়।

সোনিয়া এর পর যেসব রাজ্যে কংগ্রেস নাস্তানাবুদ হয়েছে, সেগুলোর দলীয় প্রধানদের বরখাস্ত করেন; দলে কোথায় কোথায় আরও পরিবর্তন দরকার, সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে জ্যেষ্ঠ নেতা জয়রাম রমেশ, অজয় মাকিন, অভিনাশ পান্ডে ও জিতেন্দ্র সিংকে নিয়ে একটি প্যানেলও ঠিক করে দেন তিনি।

বিদ্রোহীরা বলছেন, কংগ্রেস ওই প্যানেলে যাদের রেখেছে, তারা গান্ধী পরিবারের প্রতি অনুগত এবং উপরিভাসা কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের মুখ রক্ষা ছাড়া আরও কিছুই করছে না।

রাজ্য নির্বাচনে ভরাডুবির কারণ খতিয়ে দেখতে যাদের প্যানেল করা হয়েছে তারাই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে ভুল পথে পরিচালিত করার জন্য দায়ী, ভাষ্য ‘জি-২৩’-র।

এসব নেতাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিদ্রোহীরা বলছেন, দাবি না মানলে তাদের ‘পরবর্তী পদক্ষেপগুলো হবে মারাত্মক, এবং কেউই সেটা চায় না।’

বুধবারের বৈঠকে আদি ‘জি-২৩’-র কিছু সদস্যের পাশাপাশি মনি শঙ্কর আইয়ারের মতো নতুন কয়েকজনও ছিলেন। আইয়ার গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত অনুগত বলেই মনে করা হয়।

দুই বছর আগে সোনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি পাঠানো নেতাদের মধ্যে শশী থারুর থাকলেও পরের দিকে তাকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতেই দেখা গেছে। বুধবারের বৈঠকে তিনিও ছিলেন।

বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এ বিদ্রোহীরা কংগ্রেসে ‘সমষ্টিগত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নেতৃত্ব এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের’ আহ্বান জানান; তবে তারা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে গান্ধী পরিবারকে সরে যাওয়ার শর্ত দেননি।

“আমরা বিশ্বাস করি, কংগ্রেসকে এগিয়ে নেওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে সব স্তরে সমষ্টিগত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নেতৃত্ব এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের মডেল বেছে নেওয়া,” বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

বৈঠকে কপিল সিবাল, মনিশ তিওয়ারি, আনন্দ শর্মা, পৃথ্বিরাজ চাভানের পাশাপাশি নতুনদের মধ্যে ছিলেন ভুপিন্দর সিং হুদা, রাজ বাব্বর ও শঙ্কর সিং ভাগেলার মতো নেতারা।

প্রথমে কপিল সিবালের বাড়িতেই বিদ্রোহীদের এ বৈঠক ডাকা হয়েছিল, কিন্তু রাজ্য নির্বাচনে ভরাডুবির বিষয়ে বৈঠকের পর গান্ধী পরিবারকে ইঙ্গিত করে কপিলের কড়া সমালোচনা নিয়ে অনেকে অস্বস্তি বোধ করায় শেষ মুহূর্তে বৈঠকের স্থান বদলে যায়।

“আমি সবার কংগ্রেস চাই, অনেকে ঘরের কংগ্রেস চান,” নতুনদের সুযোগ দিতে গান্ধীদের সরে যাওয়ার সময় হয়েছে ইঙ্গিত করে সম্প্রতি কপিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এমনটাই বলেছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST