সম্পদ, সৌন্দর্য, মোহ সব কিছুর ওপরে ভালোবাসা। নব্বইয়ের দশকেও ভালোবাসার মানুষকে মনের কথা জানাতে লেখা হতো চিঠি। অনেকে আবার একটু বেশি কল্পনাবিলাসী হয়ে সেই চিঠি বেধে দিতেন পায়রার পায়ে কিংবা কবুতরের গলায়।
প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে উন্নত হয়েছে ভাব আদান প্রদানের মাধ্যম। মোবাইল ফোন আর সোস্যাল মিডিয়া সহজ করেছে কমিউনিকেশন সিস্টেমকে। একটু ভাবুন আশি বা নব্বইয়ের দশকের পায়রার কাজ করছে বর্তমান সময়ের ড্রোন। বকুতরের গলায় চিঠি বাঁধার মতো স্টিকি নোটে লিখে আটকিয়ে দিচ্ছেন ড্রোনের গায়ে। সেই চিরকুট নিয়ে ড্রোন উড়ে যাচ্ছে প্রেমিকার বাসায়। প্রেমিকাও চিঠির উত্তর চিরকুটে লিখে পাঠিয়ে দিচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে।
ভিডিও কনফারেন্সে তো কথা সবাই বলেন। কখনো কি প্রজেক্টরে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন? আজ থেকে ৫/১০ বছর পর এই মাধ্যমগুলো মোবাইল, ফেইসবুকের মতো সাধারণ হয়ে যাবে। যারা একটু বেশি কল্পনাবিলাসী তারা হয়তো নতুন এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে প্রাচিন স্বাদ নিতে ভুলবেন না। কল্পনার রঙে রাঙিয়ে হয়তো নব্বয়ের প্রকৃত অনুভুতি উপভোগ সম্ভব নয়। তবে টিনের চালে ফিরতি চিঠি নিয়ে পায়রার কিংবা কবুতর ফিরে আসবে নব্বইয়ের দশকের এমন অনুভুতি কিন্তু পেতেই পারেন।
https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/498188658604596