সারাদেশে এক দিনে এক কোটি ডোজ কোভিড টিকাদানের কাজ শুরু হয়েছে দেশজুড়ে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দেশের বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে শুরুর আগেই দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। বিশেষ এই কর্মসূচিতে দেওয়া হচ্ছে টিকার প্রথম ডোজ।
জন্মনিবন্ধন সনদ কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ। কেউ কেউ টিকা কার্ডও নিয়ে এসেছেন।
স্থানীয় একটি কাপড় তৈরির কারখানার শ্রমিক মো. মজিবুর রহমানের বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুরে। দীর্ঘদিন গ্রামের বাড়ি যেতে না পারায় জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র কোনোটাই আনতে পারেননি। ফলে টিকার জন্য নিবন্ধনও করতে পারেননি।
মজিবুর বলেন, শনিবারের টিকাদান কর্মসূচির কথা শুনে বাড়ি থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ আনিয়েছেন তিনি।
“শুনতেছি টিকা আর দেওয়া হবে না। এজন্য নিয়ে নিচ্ছি।”
এই কেন্দ্রে লাইনে ছিলেন কুড়েরপাড় গ্রামের বাসিন্দা আল মামুন। তিনি শুক্রবার নিবন্ধন করে টিকা কার্ড নিয়ে এলেও তার এসএমএস আসেনি। ফলে টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
মামুন বলেন, “দেখি যদি টিকা দিয়ে দেয়, তাহলে তো ভালো। নাইলে অন্য সময় যদি দেয় তখন নিমু।”
রাজধানীর বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রেও মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
মিরপুরের দক্ষিণ মনিপুর বায়তুস সালাম জামে মসজিদ কেন্দ্রে টিকা দিতে এসেছেন স্থানীয় গৃহিণী পুষ্পিতা আক্তার লাবণ্য।
তিনি বলেন, টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারেন এমন কোনো প্রমাণপত্র নেই তার কাছে। এ কারণে এতদিন সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করাতে পারেনি। “ভোটার আইডি নেই, জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা নেই। তাই এতদিন টিকা নিতে পারিনি। এখন জন্ম নিবন্ধন বা ভোটার আইডি কার্ড লাগবে না, তাই টিকা নিতে এসেছি।”
এই কেন্দ্রে আসা মেহেদী হাসান হৃদয় গণমাধ্যমকে বলেন “আমার জন্মনিবন্ধনে ভুল থাকায় নিবন্ধন করাতে পারিনি, এতদিন টিকাও নিতে পারিনি। এজন্য আজ টিকা নিতে এসেছি।”
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা শামসুল হক শনিবার সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, যারা নিবন্ধন করেছেন, কিন্তু এখনও এসএমএস আসেনি তারাও টিকা নিতে পারবেন।