পেন্টাগনের বরাতে মঙ্গলবার বিবিসি ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সৈন্যদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে, তবে তাদের ইউরোপে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সামরিক জোট নেটোর সদস্যরা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিলে অথবা রাশিয়ার সেনা মোতায়েন ঘিরে অন্য কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তবেই যুক্তরাষ্ট্র সেনা পাঠাবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এককভাবে ইউক্রেইনে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানান তিনি।
জন কিরবি বলেন, “এটা খুবই স্পষ্ট যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তবে সেনাবাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখার পদক্ষেপটি মূলত আমাদের নেটোর মিত্রদের আশ্বস্ত করার জন্যই নেওয়া।”
পশ্চিমা এবং ইউক্রেইনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলা বলে আসছে, এ বছরের শুরুর দিকেই কোনো এক সময় আরেকটি হামলা বা অভিযানের পরিকল্পনায় আছে মস্কো।
রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেইন সীমান্তে এক লাখ সেনা মোতায়েন করলেও কোনো ধরনের অভিযান চালানোর পরিকল্পনার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেইনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সেদেশের সরকারে ‘মস্কোপন্থি কাউকে বসানোর ষড়যন্ত্র’ করছেন বলেও অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ মন্ত্রীরা হুঁশিয়ার করেছেন, ইউক্রেইনে হামলা হলে রাশিয়াকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সম্মুখ সারির সেনাদের রসদ হিসেবে ৯০ টনের মত গোলাবারুদ পাঠিয়েছে ইউক্রেইনে। পাশাপাশি সেখানে থাকা মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওয়াশিংটন।
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে কিরবি বলেন, “আমি মনে করি না, ইউরোপ মহাদেশে কেউ আরেকটি যুদ্ধ দেখতে চায়।”
সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি যৌথ কৌশল নির্ধারণ।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদারে ডেনমার্ক, স্পেন, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসসহ নেটোর বেশ কিছু সদস্য এরইমধ্যে পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধ বিমান ও রণতরী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
https://www.facebook.com/pundrotvbd/videos/671964280485558/