ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চাওয়ায় ফেসবুক খুলে দেওয়া হচ্ছে, আগামীতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে আরো দায়িত্বশীল থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফেসবুক। বাংলাদেশে যে ফ্যাক্ট চ্যাকিং প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের হয়ে কাজ করছে, তারা স্বাধীনতাবিরোধীদের দ্বারা প্রভাবিত, সেজন্য ফেসবুক বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সার্বিক বিবেচনা করে ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউবের কার্যক্রম পরিচালনা করতে আর কোনো বাধা রাখছি না। আমরা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি, আশা করছি আজকে বিকেলের মধ্যে সবগুলো চালু হয়ে যাবে।
এর আগে সকালে ভার্চুয়ালি বিটিআরসিতে বৈঠক শুরু হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে মেটার প্রতিনিধি হিসেবে কারা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি।
গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ৯টার দিকে দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ২৩ জুলাই রাত থেকে চালু করা হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও চালু হয়নি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টিকটক। এরপর এসব যোগাযোগমাধ্যমকে তলব করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।