কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুষ্কৃতিকারীদের আগুনে পুড়ে যাওয়া বনানীর সেতু ভবন ও মহাখালীর দুর্যোগ ভবন পরিদর্শন করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী ১৪ দলের নেতারা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় তারা প্রথমে সেতু ভবন ও পরে মহাখালীর দুর্যোগ ভবন পরিদর্শন করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে জোটসঙ্গীরা ভবনের ভেতরে গিয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবন দুটির ধ্বংসযজ্ঞ দেখেন। পরে নেতারা দেশের মানুষকে এই ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘একটা দখলদার বাহিনী দেশে যেসব ধ্বংসযজ্ঞ করে, তারই কিছু নমুনা তারা এখানে রেখে গেছে। আজকে আর বলতে অসুবিধা নেই, তারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে এখন পর্যন্ত মেনে নিতে পারেনি, বিশ্বাস করে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চায়, তাদেরই কর্ম হচ্ছে আজকের এই স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া, যোগাযোগব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া। দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দেওয়া। এটাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ ১৪ দলের নেতারা।