পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এতে বাঘ ও তীরের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন নওয়াজ শরীফ এবং বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির সমর্থক প্রার্থীরা। বিপরীতে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের দেওয়া হয়েছে বেগুন, বিছানা, বোতল, চিমটার মতো নির্বাচনী প্রতীক। অনেকের অভিযোগ, তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বিঘ্ন ঘটানোর লক্ষ্যেই এ ধরনের ‘অদ্ভুত’ প্রতীক বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন।
পিটিআই সমর্থকদের পাওয়া প্রতীকগুলো নিয়ে রীতিমতো হাস্যরস তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু বিতর্কিত নির্বাচনী প্রতীক-
বেগুন: কারাবন্দি ইমরান খানের সমর্থক এবং ইসলামাবাদের প্রার্থী আমির মুঘলকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বেগুন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এটিকে উদ্দেশ্যপূর্ণ মনে করলেও বিষয়টি সামলে নিয়েছেন তিনি। নির্বাচনী সমাবেশগুলোতে বেগুনকে মাসকটে পরিণত করেন আমির। তবে তার এই প্রচারণার ফলে বেগুনের দাম বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বোতল: কোহাত শহরের সাবেক মন্ত্রী শেহরিয়ার আফ্রিদি বোতল প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন শুনেই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। কারণ পশতুন সংস্কৃতিতে এটি শূন্যতা বা মদ্যপানকে ইঙ্গিত করে। প্রতীক বদলানোর জন্য আদালতে মামলাও করেছিলেন শেহরিয়ার। কিন্তু হেরে যান তিনি। পরে বোতলটিকে ওষুধের পাত্র হিসেবে প্রচার করতে শুরু করেন, যা তার সামাজিক অসুস্থতা সারানোর ক্ষমতার দিকে ইঙ্গিত করে।
বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়া অন্য নেতা ও তাদের প্রতীকগুলোর মধ্যে রয়েছে-
সালমান আকরাম রাজা, র্যাকেট প্রতীক (এনএ-১২৮); লতিফ খোসা, ইংরেজি অক্ষর ‘কে’ প্রতীক (এনএ-১২২); মেহের বানু কোরেশি, চিমটা প্রতীক (এনএ-১৫১); শোয়েব শাহীন, জুতা প্রতীক (এনএ-৪৬); শানদানা গুলজার, বাটি প্রতীক (এনএ-৩০);
ব্যারিস্টার গোহার আলী খান, কেটলি প্রতীক (এনএ-১০); জামশেদ দস্তিক, হারমোনিয়াম প্রতীক (এনএ-১৭৫)।