1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
গাজার বাসিন্দারা বলছেন, তারা ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছেন। - Pundro TV
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৫:৫০ অপরাহ্ন



গাজার বাসিন্দারা বলছেন, তারা ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছেন।

অনলাইন ডেস্ক:
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

গাজা যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বড় বড় শিরোনামে খবর প্রকাশ হচ্ছে। খবরে থাকছে মৃতের সংখ্যা, শিশুদের আর্তনাদের ছবি ও মানুষের হাহাকার। গাজার বাইরে থেকে বহু মানুষ এভাবেই যুদ্ধকে দেখছেন। কিন্তু এভাবে গাজায় মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রকৃত চিত্র দেখা অসম্ভব। কারণ, ঘটনাপ্রবাহের বিস্তারিত জানা যাচ্ছে না। ইন্টারনেট না থাকা ও মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক কাজ না করায় তৈরি হয়েছে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর সাংবাদিকদের সেখানে প্রবেশ সীমাবদ্ধ করা হয়েছে আর স্থানীয় সাংবাদিকরা মোকাবিলা করছেন জীবনের হুমকির চ্যালেঞ্জ। এসব নানা কারণেই গাজায় ভয়াবহতার প্রকৃত চিত্র থাকছে দৃষ্টির বাইরে।

মঙ্গলবার দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এতে বলা হয়, গাজায় আলোকচিত্রীদের তোলা কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়; পাশাপাশি অল্প সংখ্যক সাক্ষ্যপ্রমাণও মেলে। তবে যারা এসব তথ্য সংগ্রহ করছেন, তারা কাজ ছেড়ে দেওয়া বা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালানোর পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। গাজা থেকে সংবাদ প্রকাশ করা স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

গাজার সাংবাদিক ইসমাইল আল-দাহদৌ ইসরায়েলের নৃশংসতায় ছোট্ট নাতিসহ পরিবারের সব সদস্য হারিয়েছেন। বেঁচে ছিলেন তাঁর এক ছেলে। সম্প্রতি ইসরায়েলের হামলায় তিনিও নিহত হয়েছেন। এ মাসে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দাহদৌ সাংবাদিকতা থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, অনেকবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন; তাঁর জীবন এখন ঝুঁকিতে। এ পৃথিবী মানবতার মানে বোঝে না; এটা (ইসরায়েলের হামলা) থামাতে তারা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর অন্তত ৭৬ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী কাজ করা সংগঠন দ্য কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস বলছে, ১৯৯২ সালের পর যে কোনো বছরের তুলনায় গত ১৬ সপ্তাহে অনেক বেশি সাংবাদিক ও জরুরি সহায়তা সরবরাহে নিয়োগ করা অনুবাদক, গাড়িচালক ও মধ্যস্থতাকারী নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনিয়ান জার্নালিস্ট সিন্ডিকেট বলছে, ‘প্রেস’ লেখা ভেস্ট পরা অবস্থায় গাজার অন্তত ২৫ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

সিএনএন জানায়, গাজার বাসিন্দারা চরম খাদ্যাভাব ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছেন। তারা ঘাস খাওয়া ও দূষিত পানি পানে বাধ্য হচ্ছেন। ৩৮ বছরের হানাদি গামাল সাইদ আল জামারা বলেন, কেবল ঘুমই পারে তাঁর সন্তানদের চরম ক্ষুধা থেকে রক্ষা করতে। সাত সন্তানের মা আল জামারাকে দক্ষিণ গাজার রাফার কর্দমাক্ত রাস্তায় খাবার ভিক্ষা করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, দিনে মাত্র একটি বার তিনি তাঁর সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে চান। তাঁর স্বামী ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের রোগী। আল জামারা বলেন, তাঁর সন্তানদের মুখ হলুদ হয়ে গেছে। তাদের প্রায়ই ডায়রিয়া হচ্ছে।

কার্যত গাজা দুর্ভিক্ষের দিকে এগোচ্ছে। গাজার বাসিন্দারা বলছেন, তারা ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST