সচরাচর গাড়িতে বা যে কোনো যানবাহনে ‘বাবা-মায়ের দোয়া’ পরিবহন লেখা চোখে পড়লেও এর ব্যতিক্রম দেখা গেলো চুয়াডাঙ্গা শহরে। ইজিবাইকের পেছনে লেখা ‘বউয়ের দোয়া পরিবহন’। ব্যতিক্রমী নামের কারণে এরই মধ্যে শহরে বেশ সাড়া ফেলেছে এ পরিবহন । এই নামে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক সেবা এনেছেন বিদেশফেরত মাসুম মিয়া । তাঁর মালিকাধীন ১১টি ইজিবাইক বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা শহরে চলাচল করছে। ব্যক্তিগত জীবনে মাসুম অবিবাহিত। অবিবাহিত হয়েও ইজিবাইক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম ‘বউয়ের দোয়া পরিবহন’ কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১২ বছর বিদেশে ছিলাম। সেখানকার অভিজ্ঞতায় জেনেছি, প্রতিটি ব্যবসায় ব্র্যান্ডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ।
যে নাম রাখতে গিয়েছি, সেই নামেই পরিবহন পাওয়া গেছে। শেষ পর্যন্ত ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলাপ করে বউয়ের দোয়া পরিবহন নাম রেখেছি। কারণ, বাবা-মায়ের পর বউ সবচেয়ে আপনজন। জেলা শহরে বউয়ের দোয়া পরিবহন নামটি ইতিমধ্যে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে আমারও পরিচিতি। বিষয়টি বেশ উপভোগ্য।’ মাসুম মিয়া চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ১২ বছর তিনি মালয়েশিয়ায় ছিলেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি দেশে ফেরেন। বিদেশে থেকে যে অর্থ উপার্জন করেছেন, তা দিয়ে ১১টি ইজিবাইক কেনেন। এর মধ্যে একটি নিজের জন্য রেখেছেন। বাকি ১০টি ভাড়ায় দিয়েছেন। মাসুম মিয়ার দাবি, এই ইজিবাইকগুলো থেকে যা আয় হয়, তা দিয়ে বেশ ভালোভাবেই বাবা-মাসহ তাঁর তিন সদস্যের পরিবারের চলে যায়। আর বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা তাঁর নেই। এবার তিনি বিয়ে করে সংসারী হতে চান। তিনি বলেন, ‘বাবা-মায়ের পছন্দে শিগগিরই একটা বিয়ে করতে চাই। বিয়ের পর বাবা-মা ও স্ত্রীকে নিয়েই দেশেই জীবনের বাকি দিনগুলো কাটাতে চাই।’