বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েলের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আহত নেতা সোমবার রাতে সদর থানায় জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশ ও সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাসহ ৮৪ জনের নামে মামলা করেছেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্র জানায়, গত ২৯ অক্টোবর বিএনপির হরতাল চলাকালে শহরের গালাপট্টি এলাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে তিন দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা করা হয়। ইটপাটকেলের আঘাতে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েলসহ ৭/৮ নেতাকর্মী আহত হন। জুয়েলের মাথায় ৮টি সেলাই দিতে হয়েছে। এছাড়া অন্য স্থানে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েল সোমবার রাতে সদর থানায় জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাসহ ৮৪ জনের নামে মামলা করেছেন।
অপরদিকে ২৯ অক্টোবর হরতাল চলাকালে শহরতলির বাঘোপাড়া এলাকায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। রোববার মধ্যরাতে পুলিশ ও আনসার সদস্যের দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারে অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়। ওই মামলার সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এসব হামলায় তিন পুলিশ ও মাহী নামে এক কিশোর আহত হন। মাহীর চোখে গুলি লেগেছে। তার চোখে অপারেশন করতে হবে।