কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানাকে সাজা দেওয়ায় মর্মাহত হয়েছেন অধস্তন আদালতের বিচারকরা। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই মর্মাহত হওয়ার বিষয়টি জানান অধস্তন আদালতের বিচারকদের সংগঠন জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
আদালত অবমাননার মামলায় অধস্তন আদালতের বিচারক সোহেল রানাকে এক মাসের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন হাইকোর্ট।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টের এই রায়ে সংক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হন অধস্তন আদালতের বিচারকরা। বৈঠকে উপস্থিত বিচারকরা আইনমন্ত্রীকে বলেন, সুপ্রিমকোর্ট আমাদের অভিভাবক। আমরা বিচার বিভাগের সদস্য। সংবিধান ও আইনের আলোকে বিচার কাজ করাই আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অভিভাবক হিসেবে সুপ্রিমকোর্ট আমাদের ভুলভ্রান্তিগুলো নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করে সংশোধনের সুযোগ দেবেন সেটাই প্রত্যাশা করি। যাতে করে ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে আমরা সচেষ্ট হতে পারি।
বৈঠকে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এএইচএম হাবিবুর রহমান, মহাসচিব ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানসহ বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানার সাজা নিয়ে অনুষ্ঠিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের বৈঠকে আমি ছিলাম। আমি তাদের কথা শুনেছি, দায়িত্ব নিয়েছি। আশ্বাস দিয়ে কাজে যোগ দিতে বলেছি। তারা আমার কথায় সন্তুষ্ট হয়েছেন।