1. shahajahanbabu@gmail.com : admin :
ভাইরাল এই শিল্পির ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা আয় করে? ইয়োহানী লাইফ স্টাইল। - Pundro TV
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন



ভাইরাল এই শিল্পির ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা আয় করে? ইয়োহানী লাইফ স্টাইল।

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

গানের উৎসস্থল সিংহল, কিন্তু তার সুর ছড়িয়ে গিয়েছে এ দেশেও। ভাষা অজানা— তাতে কী? ‘মানিকে মাগে হিথে’ নিয়ে মেতে আছে অনেক দেশের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই বহু ভাষায় অনুবাদ করে গাওয়া হয়েছে গানটি। এই জনপ্রিয় গানের নেপথ্যে যিনি কণ্ঠ দিয়েছেন, জানেন তিনি কে?

নিজের দেশ শ্রীলঙ্কায় র্যাপ রাজকন্যা তিনি। ভাল নাম ইয়োহানি দিলোকা ডি সিলভা। বাবা প্রসন্ন ডি সিলভা দীর্ঘকাল সেনাবাহিনীর প্রধান থাকায় ইয়োহানির শৈশব কেটেছে শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে। মা দিনিথি ডি সিলভা কাজ করতেন বিমানসেবিকা হিসেবে। শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধ যখন তুঙ্গে তখন ছোট্ট ইয়োহানির এক একটি দিন কেটেছে উদ্বেগে— বাবা অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসবে তো?

২০০৯ সালে কলোম্বো জেলায় স্বদেশের শিক্ষার পাট চুকিয়ে তিনি পাড়ি দেন বিলেতে। ২০১২ সালে লন্ডন থেকে উচ্চবিদ্যালয় শেষ করেন। এরপর নিজের দেশ থেকে লজিস্টিক্সে স্নাতক ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাকাউন্টিং নিয়ে স্নাতকোত্তর। অনেকে জানেন না, গানের পাশাপাশি খেলাধুলাতেও বেশ পারদর্শী ছিলেন তিনি। স্কুলে পড়াকালীন সাঁতারে ও ওয়াটার পোলো খেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছেন ইয়োহানি।

২০১৭ সালে নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে এই র্যাপ রাজকন্যা একটি গান বের করেছিলেন, নাম ‘দেবিয়াঙ্গে বারে।’ এই গানও সেই সময় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল নেটমাধ্যমে, তবে ‘মানিকে মাগে হিথে’-র মতো দেশের গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েনি। তার জন্য অপেক্ষা করতে হল চার বছর।
ইউটিউব পরিসংখ্যান বলছে, তিন মাসে ৮.৭ কোটি মানুষ দেখেছেন এই ভিডিও। ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করলেন ইয়োহানি, হয়তো অনেকেরই জানা নেই। জুলাই মাসে তার আয় ছিল প্রায় ৫ লাখ টাকা। গানের প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে মাত্র এক মাসে তার আয় বেড়ে যায় ১০ গুণেরও বেশি! অগস্ট মাসের শেষে তার আয়ের অংক প্রায় ৬০ লাখ টাকা। তিন মাসে ইয়োহানির মোট আয় ১ কোটি ২ লাখ টাকার ওপরে।

দৌলতে। সেই ভিডিওতে দেখা যায় এক জন বিমানসেবিকা এই গানের তালে নাচছেন একটি ফাঁকা প্লেনে। এখনও পর্যন্ত ৪ কোটির বেশি নেটাগরিক দেখে ফেলেছেন এই ভিডিও।
অনেকেই উদ্যোগ নিয়ে এই গানকে রূপ দিয়েছেন নিজের মাতৃভাষায় । কয়েক জন অনুবাদ করেছেন গানটির। কয়েক জন আবার তর্জমার দিকে হাঁটেননি- নিজের মতো করে গড়েপিটে নিয়েছেন গানটিকে, লোকসঙ্গীতের সুর মিলিয়ে। হিন্দি, বাংলার পাশাপাশি ভারতের ত্রিপুরার স্বল্প-পরিচিত ককবরকের মতো ভাষাতেও বের হয়েছে এই গান।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২
Developed By ATOZ IT HOST